নীতি নির্ধারণী কর্মশালায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ

প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ এ্যান্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় “কো-ক্রিয়েট ২০৭১” নামে একটি কর্মসূচীর আয়োজন করে, যার দুইটি কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৫ জুন এবং ৬ জুন ২০২৩ তারিখে। দুইদিন ব্যপী এই কর্মশালাটির প্রথম দিনের বিষয়বস্তু ছিল “জননীতি” এবং দ্বিতীয় দিনের বিষয়বস্তু ছিল “গণতান্ত্রিক মনোভাবের বিকাশ”। এই কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এই প্রোগ্রামটির অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বর্তমানের তরুণসমাজ, যারা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক, তাদেরকে ধারণার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করা এবং নতুন নতুন পলিসি নির্ধারণে নিযুক্ত করা।  মূল বিষয়বস্তু নিয়ে সেশন এবং মুক্ত আলোচনা দিয়ে মূলত এত কর্মশালাটিকে সাজানো হয়েছিল। এই সেশন এবং মুক্ত আলোচনাসমূহের মূল আলোচক ছিলেন মূলত ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এ্যালামনাই এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ। প্রথমদিনের মূল সেশনটি পরিচালনা করেন প্রণব কুমার পান্ডে, অধ্যাপক, পাব্লিক এ্যাডিমিস্ট্রেশন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও মুক্ত আলোচনাটি পরিচালনা করেন জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, চিফ কন্সারভেটিভ অফিসার, বরেন্দ্র যাদুঘর, রাজশাহী বিষ্ববিদ্যালয়। মুক্ত আলোচনার পর আরো একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যার মূখ্য বক্তা ছিলেন মাহমুদ-উন-নবী, প্রকেক্ট অফিসার, সচেতন সোসাইটি, রাজশাহী।

দ্বিতীয় দিনের মূল সেশনটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জনাব শাতীল সিরাজ, সহযোগী পধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও মুক্ত আলোচনায় ছিলেন জনাব আহমেদ শফীউদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট সমাজ গবেষক।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনাব মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের সংস্কৃতি সেটাই যা আমরা ধারণ করি এবং বহন করি। আমাদের সংস্কৃতিই আমাদের পরিচয় এবং পরিচয়ের অংশ। তাই আমাদের সবসময় চেষ্টা করতে হবে কিভাবে আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে কে আমরা ধরে রাখতে পারি এবং একইসাথে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারি।

এছাড়াও দুইদিনব্যপী অনুষ্ঠিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন জনাব আশরাফুল তানভীর, হেড অফ অপারেশন্স, প্রেনিউর ল্যাব, যিনি কর্মশালাটি সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের উপযুক্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং একটি পলিসি নির্ধারণী কর্মশালা পরিচালনা করেন। বিষয়বস্তু ভিত্তিক এবং প্যানেল সেশন ছাড়াও এই কর্মশালাটিতে ছিল দলগত কাজ সহ বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে চলমান বিবিধ সমস্যাবলির সম্পর্কে অবগত হন এবং এইসমস্ত সমস্যার সমাধানকল্পে নতুন নতুন পলিসির সুপারিশ করেন। অংশগ্রহণকারী সমস্ত শিক্ষার্থীর জন্য ছিল সার্টিফিকেট এবং বিশেষ উপহারের সুব্যবস্থা। এছাড়াও দুইদিনব্যপী এই অনুষ্ঠানে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন জনাব আসাদুর রহমান, কন্টেন্ট এক্সপার্ট।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তাদের প্রত্যাশা এবং সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন, পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানটির সামগ্রিক সাফল্য কামনা করেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কান্ডারি আজকের তরুণ সমাজের উন্নতিকল্পে এই ধরণের কর্মশালার কোন বিকল্প নেই।