দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু এবং বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তরুণদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রেনিউর ল্যাব ইউথ এ্যান্ড ইনোভেশন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় “কো-ক্রিয়েট ২০৭১” নামে একটি কর্মসূচীর আয়োজন করেছে, যার প্রথম কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ১৪ মে এবং ১৫ মে ২০২৩ তারিখে। দুইদিন ব্যপী এই কর্মশালাটির প্রথম দিনের বিষয়বস্তু ছিল “পরিবেশগত উদ্যোগ” এবং দ্বিতীয় দিনের বিষয়বস্তু ছিল “সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা”। এই কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এই প্রোগ্রামটির অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল বর্তমানের তরুণসমাহ, যারা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক, তাদেরকে ধারণার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করা এবং নতুন নতুন পলিসি নির্ধারণে নিযুক্ত করা।  মূল বিষয়বস্তু নিয়ে একটি সেশন এবং একটি প্যানেল আলোচনা দিয়ে মূলত এত কর্মশালাটিকে সাজানো হয়েছিল। এই সেশন এবং প্যানেল আলোচনার মূল আলোচক ছিলেন মূলত ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এ্যালামনাই এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এডুকেশন আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর হিসাবে কর্মরত জনাব সোহেল ইকবাল এবং মার্কিন দূতাবাসের পাব্লিক ডিপ্লোমেসি সেকশনে কর্মরত, মি. লিয়াম এম. গার্ডিনারের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথমদিনের অনুষ্ঠানটির সূচনা ঘটে।  প্রথমদিনের মূল সেশনটি পরিচালনা করেন আইরিন খান, প্রতিষ্ঠাতা, আইক্যান ফাউন্ডেশন। এছাড়াও প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন জনাব নাফিজুর রহমান, প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসার, হাউজিং এ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট; তানিয়ান ওয়াহাব, ম্যানেজিং পার্টনার, কারিগর এবং প্যানেলটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন খান, প্রজেক্ট রিসার্চার এ্যান্ড কমিউনিকেশন ্ম্যানেজার, ভয়েস অফ বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় দিনের মূল সেশনটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জনাব শেখ মইনুল খোকন, প্রেসিডেন্ট, হিউমযান এইড বাংলাদেশ। এছাড়াও প্যানেল আলোচনায় ছিলেন ড. নওশীন পূরবী, প্রতিষ্ঠাতা, ড. পূরবী’স হেল্প দেস্ক; জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন খান, প্রজেক্ট রিসার্চার এ্যান্ড কমিউনিকেশন মযানেজার, ভয়েস অফ বাংলাদেশ এবং জনাব রাহাত হোসেন, সহপ্রতিষ্ঠাতা, আয়াত কেয়ার। প্যানেল আলোচনাটির পরিচালনার দায়ত্বে ছিলেন সিকদার ঋতুপর্ণা, মার্কেটিং এ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার, প্রেনিউর ল্যাব।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন খান বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক রোগকে যেমন প্রাধান্য দেওয়া হয়, মানসিক রোগকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

এছাড়াও দুইদিনব্যপী অনুষ্ঠিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন জনাব আশরাফুল তানভীর, হেড অফ অপারেশন্স, প্রেনিউর ল্যাব, যিনি কর্মশালাটি সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের উপযুক্ত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং একটি পলিসি নির্ধারণী কর্মশালা পরিচালনা করেন। বিষয়বস্তু ভিত্তিক এবং প্যানেল সেশন ছাড়াও এই কর্মশালাটিতে ছিল দলগত কাজ সহ বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচী, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে চলমান বিবিধ সমস্যাবলির সম্পর্কে অবগত হন এবং এইসমস্ত সমস্যার সমাধানকল্পে নতুন নতুন পলিসির সুপারিশ করেন। অংশগ্রহণকারী সমস্ত শিক্ষার্থীর জন্য ছিল সার্টিফিকেট এবং বিশেষ উপহারের সুব্যবস্থা।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তাদের প্রত্যাশা এবং সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন, পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানটির সামগ্রিক সাফল্য কামনা করেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কান্ডারি আজকের তরুণ সমাজের উন্নতিকল্পে এই ধরণের কর্মশালার কোন বিকল্প নেই।